নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: পেকুয়ায় জনতার গনধোলাইয়ে জামাল হোসেন (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুই ডাকাতকে জনতা গনধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া সাপেরগাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গণধোলাইয়ে নিহত জামাল হোসেন ওই ইউনিয়নের সাপেরগাড়া এলাকার মৃত আলমগীরের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে কাউসার (২৫) ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ীয়াখালী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে নাছির হোসাইন। বর্তমানে আহতরা পুলিশ হেফাজতে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে কাউসারের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে ডাকাতদলের গুলিতে সাপের গারা এলাকায় মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবক নুরুন্নবী নিহত হন। একই ঘটনায় নুরুন্নবীর মা হাজেরা বেগম ও ছোট ভাই মোজাম্মেল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডাকাতদলের এলোপাতাড়ি গুলিতে তারা হতাহত হয়েছেন। এদিকে ডাকাতের গুলিতে প্রবাসী নিহতের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা সকালে ওই প্রবাসী খুনের ঘটনায় জড়িত তিন ডাকাতকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় জামাল হোসেন গনপিটুনিতে মারা যান।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামরুল আজম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, জনগণের গনপিটুনীতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এছাড়াও দুই ডাকাতকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পেকুয়াবাসী জানান, বর্তমানে পেকুয়ায় আইন শৃংখলা পরিস্তিতির চরম অবনতি হয়েছে। এলাকার আইন শৃংখলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। এলাকাবাসী অবিলম্বে পেকুয়ার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: